মানবেতর জীবন যাপন করছে শুঁটকি পল্লীর ব্যবসায়ীরা

প্রকাশঃ নভেম্বর ২৫, ২০১৫ সময়ঃ ৭:২৭ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৭:২৭ অপরাহ্ণ

BARISALমৎস্য অঞ্চল হিসেবে পরিচিত বিল-বাওড় ঘেরা বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা। এ অঞ্চলের শত শত পরিবার শুঁটকি ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। উপজেলার পয়সারহাট, ত্রিমুখী নদীর উপকূল এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠেছে শুঁটকি পল্লী। এ অঞ্চলের সুস্বাদু মিঠা পানির নানা প্রজাতির মাছ সমগ্র দেশে সরবরাহ করা হয়। মাছ ধরার পেশার সাথে জড়িত দরিদ্র পরিবারগুলো অধিক লাভের আশায় বছরের আশ্বিন মাসের প্রথম থেকে ৬ মাস শুঁটকির কাজ পেশা হিসেবে বেছে নেয়।

প্রায় একযুগ পূর্বে বানিজ্যিকভাবে গড়ে উঠে পয়সারহাট, রাজাপুর, ত্রিমুখী, রাজিহারসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শুঁটকি পল্লী। শুঁটকি তৈরীতে বিভিন্ন প্রকার মাছের মধ্যে পুঁটি, শৌল, টেংরা, খলিশা, পাবদা, কৈ, শিং, মাগুর, মেনি, ফলি উল্লেখযোগ্য। ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজার থেকে ১ মণ কাঁচামাছ কিনে শুকালে ১৫-১৬ কেজি শুঁটকি তৈরি হয়। বর্তমানে প্রতি মণ কাঁচা পুঁটি মাছ ক্রয় করতে হয় ১৫শ টাকা, তিনমন কাঁচা মাছ শুকালে ১ মণ শুঁটকি তৈরী হয়। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪ হাজার ৬শ টাকা রয়েছে। গত বছর ১ মণ শুঁটকি পুঁটি মাছ ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল। এ বছর সেই শুঁটকি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। অথচ কাঁচা মাছ তাদের পূর্বের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

ঐ পল্লীর মাছ কাটার কাজে নিয়োজিত রাজাপুর গ্রামের মহিলারা জানান, বছরে ৬ মাস মাছ কাটার সাথে নিয়োজিত থাকলেও বাকি ৬ মাস অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাতে হয়। তারা আরও জানান, ছেলে-মেয়েরা স্কুলে লেখাপড়া করছে। মাছ কেটে যা আয় করি তা দিয়ে বহুকষ্টে জীবনযাপন করছি। তারা আরও বলেন, বর্তমানে শুকনা মৌসুমের শুরুতে মাছ বেশি পাওয়া গেলেও মাঝামাঝি সময়ে বিলে মাছ কম থাকায় তাদের দু:খ-দুর্দশা বেড়ে যায়। শুঁটকি ব্যবসায়ী পয়সারহাটের মন্মথ রায় জানান, সরকারীভাবে কোন সহজ শর্তে ঋণ না পাওয়ায় প্রতিবছরই আমাদের দেনাগ্রস্থ হতে হচ্ছে। শুঁটকি পল্লীর সাথে জড়িত মৎস্যজীবীরা সরকারের কাছে সাহায্যের পরিবর্তে সহজ শর্তে ঋণ আশা করছে।

প্রতিক্ষণ/এডি/এআরকে

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G